![](https://lsc.academy/wp-content/uploads/2023/03/Learning.jpg)
About Course
প্রিয় অভিভাবক,আপনার সন্তানের বয়স কি ৫ হতে ১২ বছরের মধ্যে? আপনি কি আপনার প্রিয় সন্তানকে ভবিষ্যতে একজন সামরিক অফিসার হিসেবে দেখতে পছন্দ করেন? তবে এই অনুশীলনগুলো আপনার সন্তানকে পৌঁছে দিবে নিশ্চিত সফলতার দুয়ারে।
Course Content
১। শিশুকাল হতেই পৃথিবীর বিভিন্ন জাতির বীর যোদ্ধা ও সামরিক বাহিনীর সাফল্যের উপর উপর লেখা আবেগপূর্ণ গল্পগুলো তাকে বলুন। বিখ্যাত মানুষদের সফলতার পেছনে যেসব শ্রম ও অধ্যবসায় জড়িত ছিল সেসবের গল্প বলুন। পরিশ্রম আর বীরত্বের গল্পগুলো তাকে পড়তে ও সে সম্পর্কে জানতে উৎসাহ দিন। পরিবারের সকলেই এমন সব বিষয় নিয়ে শিশুটির সম্মুখে আলোচনা করুণ যেন অবচেতনায় বীরত্বের প্রতি শিশুটির অন্তরে আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। এডভেঞ্চার বিষয়ক গল্প, অজানাকে জানার গল্প, শিকার কাহিনী, মহান যোদ্ধাদের জীবনী, দেশপ্রেমের গল্পগুলো শিশুদের অন্তরে স্বপ্নের বীজ বুনে, তাই নিজ গৃহে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করুণ যেন শিশুটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার মননশক্তি নিয়ে বড় হয়। একটা শিশু তার মা বাবাকেই সবথেকে বেশি ভালোবাসে আর তাই মা বাবার আনন্দ শিশুর জন্য সবথেকে শক্তিশালী অনুপ্রেরণা হিসেবে ক্রিয়াশীল হয়। মা বাবা হিসেবে শিশুটিকে তাই সমাজ জীবনে ন্যায় প্রতিষ্ঠার বীর যোদ্ধা হতে অনুপ্রাণিত করুণ।
২। যা কিছুই হোক শিশুর সাথে স্বাভাবিক ব্যবহার ও সদাচার করুণ। ছোট ছোট ভুল থেকে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে তারা যেন নিজেকে সংশোধন করতে পারে সেক্ষেত্রে তাদের সাহায্য করুণ। আত্মনির্ভরশীল করতে শিশুদের নিজেদের ছোট ছোট কাজগুলো যেন তারা নিজেরাই সম্পন্ন করে সে অভ্যাসে তাদের অভ্যস্ত করুণ। যে কাজ তারা নিজেই করার সামর্থ্য অর্জন করেছে তা অন্য কেও সম্পন্ন করে দেওয়া হতে বিরত থেকে শিশুদের আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করুণ।
৩। দিনরাত পড়ালেখা না করলে পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করবে না – এমন ভয় হতে বেড়িয়ে এসে বরং তাকে মনোযোগ দিয়ে অধ্যয়ন করার প্রতি আগ্রহী করে তুলুন।মুখস্ত করার বদলে তাকে শেখার প্রতি আগ্রহী করে তুলুন। বাবা মা হিসেবে সন্তানের সাথে আন্তরিক সময় ব্যয় করুণ; তাদেরকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান, তাদের সাথে গল্প করুণ। বাসার সকলকে নিয়ে একসাথে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুণ।
৪। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম আমাদের মস্তিস্কের হিপোক্যাম্পাসের কার্যক্রমকে অধিক সক্রিয় করে নিওরজেনেসিস ঘটায় ফলে নতুন নতুন নিউরনের জন্ম হয় তাই,আপনার শিশুটিকে আউটডোর খেলাধুলায় আগ্রহী করুণ। প্রতিদিন কমপক্ষে ১ ঘণ্টা এমন খেলাধুলায় অভ্যস্ত করুণ যেন তার শারীরিক গঠনের সাথে মস্তিষ্কের গঠনও সুঠাম হতে পারে। সুষম খাবার আর রাত ১০ টার মাঝেই ঘুমের অভ্যাস আপনার সন্তানের শারীরিক যোগ্যতাকে বিশেষভাবে বৃদ্ধি করবে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে অধিক শক্তিশালী করবে।
৫। শিশুদের সামনে ভয়, সংশয়,অসম্মান, অমর্যাদা বিষয়ক কথা, কাহিনী, ও আলোচনা হতে বিরত থাকুন।
৬। আপনার সন্তান যেন অন্য সকলের প্রিয়পাত্র হতে পারে সে লক্ষ্যে শিশুটিকে ভাল আচার আচরণের শিক্ষা দিন। সে যেন ছোটবেলা থেকেই বন্ধুদের অনুপ্রাণিত করার সক্ষমতা আয়ত্ত করতে পারে সে বিষয়ে তাকে আগ্রহী করে তুলুন।
৭। যে কোন বিষয়ে গুছিয়ে কথা বলার অভ্যাস করা অত্যন্ত মূল্যবান মানুষিক সক্ষমতা তাই শিশুকে নিজ গৃহেই অন্য সকলের সামনে নানা বিষয়ে বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দিন। মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনুন এবং আরও প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয়ভাবে কথা বলতে তাকে আগ্রহী করে তুলুন।
৮। আপনার সন্তানকে আত্মসম্মানী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে অনুপ্রাণিত করুণ। ভোগবিলাস শিশুদের জীবন-স্বপ্নকে দুর্বল করে দেয়, তাই সন্তানকে সুষ্ঠু মানুষিক গঠন নিয়ে গড়ে উঠতে তাদের মৌলিক প্রয়োজনগুলোকে গুরুত্ব দিন কিন্তু বিলাসী কোন কিছু পেতে তাদেরকে নিজের উপার্জন অবধি অপেক্ষা করার আত্মসম্মানের শক্তিতে শক্তিশালী করুণ।
৯। তাকে ছোট ছোট গঠনমূলক কিছু কাজ স্বাধীনভাবে করতে দিন। শিশুটি যেন আত্মবিশ্বাসী হতে পারে তাই বাস্তব কিছু অর্জন করতে সক্ষম এমন মানুষিক শক্তি অর্জনে তাকে অনুপ্রাণিত করুণ।
Student Ratings & Reviews
No Review Yet